দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি অর্থায়নে ছোট ও মাঝারি ধরনের ১০০ সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে উদ্বোধনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেতুগুলোর বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য তুলে ধরা হয়। সভা থেকে সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা সেতুগুলো পরিদর্শনে আটটি পরিদর্শক টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দল অঞ্চলভিত্তিক সেতুগুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে একসঙ্গে সব সেতুর উদ্বোধন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান কালের কণ্ঠকে বলেন, কিছু সেতু অনেক দিন আগে নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা কেমন, সেটা দেখা দরকার। আবার অনেক সেতুর নির্মাণ শেষ পর্যায়ে ছিল, সেটাও দেখতে হবে। পরিদর্শক টিম পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দিলে সব পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, আপাতত ২৯ অক্টোবর সেতুগুলোর উদ্বোধনের জন্য সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত দিন নয়। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেখানে এই দিন উল্লেখ করা থাকবে। তবে এটা বদল হতে পারে।
এই ১০০টি সেতুই জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কে নির্মিত হচ্ছে। সেতুগুলোর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য এখনো জানা যায়নি। তবে এর মধ্য কোনো কালভার্ট নেই। সব সেতুর
নিচ দিয়েই নৌযান চলাচল পথ থাকবে। সাধারণত যেসব সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের পথ থাকে না সেগুলোকে কালভার্ট বলা হয়।
এর আগে গত সোমবার নড়াইলের মধুমতী সেতু উদ্বোধনের সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চলতি মাসে আরো ১০০ সেতু উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘নেত্রী, আমরা অপেক্ষা করছি, এখন টুকটাক কিছু কাজ বাকি আছে; ১০০টি সেতু একসঙ্গে আপনি উপহার দেবেন। বাংলাদেশের জনগণ অলমোস্ট রেডি। চলতি মাসে ১০০টি সেতু প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে উপহার দেবেন। সেই শুভদিনের অপেক্ষায় আমরা আছি। ’
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সেতুগুলো ভ্রমণের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে আরো সহজ, দ্রুত এবং সহজলভ্য করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।