সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মামুনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীনের আদালতে
তোলা হয়। এ সময় মামুনের জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন। তবে এই আবেদন নাকচ করে মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ জানান, নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার ভালোবেসে শহরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেনকে বিয়ে করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারা দু’জন শহরের বলারিপাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এরই এক পর্যায়ে রোববার সকালে সেই ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মামুন হোসেনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সিআইডির সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার স্থানীয় আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় খাইরুন নাহারের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন রোববার রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।