মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আপন চাচাতো বোনকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গভীর রাতে থানার এসআই খাইরুল আলম বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রানীমুরা বীরগুগালির নিজ বাড়ী থেকে আট সন্তানের জনক মাসুক মিয়া (৪৮) কে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এমন ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। অনেকেই এ ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতারকৃত মাসুক মিয়াকে (জুড়ী থানা মামলা নং-০২, তারিখ ১৩ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান।
ভিকটিমের পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাসুক মিয়া ভিকটিমের আপন চাচাত ভাই। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। গত ৮ অক্টোবর বিকেলে মাসুক মিয়া ও তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার ভিকটিমের বাড়ীতে যায়।
পরে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ভিকটিম কে তার নিজ বাসায় নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে সাড়ে বারোটায় মাসুক মিয়া তার মেয়ে ও ভিকটিমকে এক কক্ষে ডেকে নেয়। তারা সেখানে যাওয়ার পর মেয়েকে ইশারা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। পরে নারীলোভী, লম্পট মাসুক মিয়া তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোররাত অবদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম মাসুদ মিয়ার হাতে পায়ে ধরেও তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারে নি।
একপর্যায়ে সে চিৎকার করলেও পাশের কক্ষে থাকা দুই স্ত্রী ও মেয়েসহ তাকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসে নি। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে বলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত লম্পট মাসুক মিয়া। সকালে মাসুক মিয়ার ছেলের মোবাইল থেকে ভিকটিম তার ভাইকে বিষয়টি জানালে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভিকটিমের টিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আলাপকালে ভিকটিমের বড় ভাই জানায়, অভিযুক্ত মাসুক মিয়া একজন লম্পট ও নারীলোভী। সে অনেক অসহায় ও নিরীহ মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলতে সাহস পায় না। আমরা লম্পট, নারীলোভী ও চিহ্নিত এ মাদক ব্যবসায়ীর কঠোর শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মাসুক মিয়া কে পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার করে। নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এমন ঘৃন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গ্রেফতারকৃত মাসুক মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।