স্ত্রী মৃত্যুর পর একা হয়ে পড়েন আব্দুল জলিল। তার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। তারা ব্যস্ত যে যার মতো। আব্দুল জলিলের বয়স হয়েছে প্রায় ৮০ বছর। এখন শরীরের অবস্থাও তেমন ভালো না। নিঃসঙ্গতায় কাটছিল তার দিনকাল। তাই উদ্যোগ নিয়েছেন বিয়ে করার। কথা মতো বিয়েও করেছেন এক বিধবাকে।
ভোলার চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শিবা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ এ আব্দুল জলিলের বিয়ে নিয়ে রীতিমতো এখন এলাকায় চলছে তোলপাড়। জলিলের বিয়ে করা ৪০ বছর বয়সী নববধূ জাহানারা বেগমের বাড়ি একই উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানপুর তুলাগাছিয়া গ্রামে।
এদিকে, বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নব্য জুটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। অনেকে তাদের সুখময় দাম্পত্য জীবন কামনা করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইশা ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটায় ধুমধাম করে আড়াই লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনে দুই পক্ষের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধ আব্দুল জলিল মাইশা ব্রিকস নামে ঐ ইট ভাটায় দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
নিজের বিয়ের ব্যাপারে বৃদ্ধ আব্দুল জলিল জানান, ঘটকের মাধ্যমেই কনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর উভয়ের সম্মতিতে এ বিয়ে হয়। স্ত্রীর মৃত্যু পর একা হয়ে পড়েন তিনি। ছেলে-মেয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তাই বৃদ্ধ বয়সে নিজের খেয়াল রাখতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
নববধূ জাহানারা বেগম সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেছে। স্বামীর মৃত্যুর পর এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়ি। প্রথম স্বামীর সংসারে একজন কন্যা সন্তান ছিল, তবে সেও মারা গেছে। এরপর প্রস্তাব আসে বিয়ের জন্য। পরে আব্দুল জলিলকে দেখেই বিয়ে করেছি।