গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দিচ্ছে, স্বচক্ষে দেখেছি: সিইসি

অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তা পরবর্তীতে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেবো, তখন জানাবো।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করলাম কিছু কিছু কেন্দ্রে সিসি টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারছিলাম না। আমরা আমাদের পদস্থ কর্মকর্তাদের রেখে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্ষ ত্যাগ করেছি। এরপরে আরও ৭টি কেন্দ্র থেকে আমাদের অনুমোদন নিয়েছেন। আমরা সম্মত হয়েছি। ৫০টি কেন্দ্রের ভোট আমরা বন্ধ করেছি এবং একজন রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করেছেন। অর্থাৎ সর্বমোট ৫১টি ভোট আমরা বন্ধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনের সব সদস্য মিলে এরপরে আমরা পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। যেহেতু ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই অবশিষ্ট কয়েকটি কেন্দ্র থেকে সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব না। আইনেও বলা আছে যে, কমিশনের কাছে ভোট যদি নিরপেক্ষ না হয়ে তবে তারা যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।’

এরআগে সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেন সিইসি। সকালেই তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে নির্বাচন।

সিইসি বলেন, কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সঠিকভাবে হচ্ছে না তাই আমরা ভোট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অনেক কঠোর অবস্থানে আছে। নির্বাচনটাকে নির্বাচনের মতোই দেখতে চাই আমরা। অনিয়মের কারণে আমাদের এমন করতে হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশ বা আইন ভঙ্গ করে প্রবেশ করতে আমরা সচক্ষে দেখেছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরে দেখব। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি।’