শিশুশিল্পী থাকা অবস্থায় তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বড় বেলায় নায়িকা হিসেবেও অভিষেক হয়েছে তার। তবে দীঘির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথা, নায়িকা হিসেবে তার শুরুটা ‘সোনায় সোহাগা’ হয়নি! তাই সমালোচিত হতে হয়েছে দীঘিকে।
হয়তো তাই দীঘি বুঝে শুনে আগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ছক কষে আগানোর প্রতিফলন হচ্ছে নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘শেষ চিঠি’। ২ জুন দেশিয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সুমন ধরের পরিচালনায় এতে দীঘির বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান।
ওয়েব ফিল্মে দীঘির চরিত্রটির নাম তুলি। এছাড়া আরও আছেন সাবেরী আলন, হিন্দোল রায়, মিলি মুন্সী। গল্পের ধারণা দিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে দীঘি বলেন, ভালোবাসে বিয়ে করে সংসার শুরু হয়। কিন্তু শ্বাশুড়ি কখনই বউকে মেনে নেয়নি। এরমধ্যে নানা রকম টানাপোড়েনে চলতে থাকে নতুন সংসার। একটা সময় দাম্ভিক শ্বাশুড়ি জিতেও হেরে যায়!
তুলি চরিত্রটি নিয়ে দীঘি জানান, এটি অনেকটাই তার সঙ্গে কিছুটা রিলেট করতে পারে। তুলি চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে, দীঘিও তাই। তবে পরবর্তীতে তুলির জীবনে কিছু পেইন আসে, সেটি ব্যক্তিজীবনে দীঘির অজানা ছিল। বললেন, চরিত্রে পেইন নিতে গিয়ে নিজেকে কিছুটা ভাঙতে হয়েছে। যে টিমের সঙ্গে কাজ করেছি তারা না থাকলে হয়তো চরিত্রটা ঠিকমত দিতে পারতাম না।
‘আমি যা দিয়েছি, পুরোটাই পরিচালক আমার থেকে আদায় করে নিয়েছেন। সহশিল্পী ইয়াশ এক কথায় অসাধারণ সহযোগিতা পরায়ণ সহশিল্পী ছিল। সে এতো ভালো ন্যাচারাল অভিনয় করে, আমি মাঝে মাঝে ভয় পাচ্ছিলাম। আমি নিজের সেরা অভিনয় দেয়ার জন্য যা করা লাগে সেভাবেই করেছি। যতটুকু কষ্ট করেছি তার চেয়ে বেশি কাজটা উপভোগ করেছি।’
‘শেষ চিঠি’র মাধ্যমে প্রথমবার ওয়েব দুনিয়ার অভিষেক হতে যাচ্ছে দীঘির। তিনি বলেন, দৈনন্দিন সাংসারিক জীবনে একজন মেয়ের যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সেগুলো রোমান্টিক ও নাটকীয়তার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এর টিজার প্রকাশের পর সকলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এটা আমার জন্য ব্লেসিং। এ কারণে কাজটি নিয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড।
দীঘি আরও বলেন, ওয়েবে আমার প্রথম ডেবিউ হচ্ছে। এ কারণে চ্যালেঞ্জ অনেক। কিছুটা টেনশনও হচ্ছে। আমার কাজের প্রতি মানুষের যে প্রত্যাশা জানি না কতখানি পূরণ করতে পারবো। তবে আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করেছি। ওয়েবে এখন অনেকেই খুব ভালভাবে কাজ করছেন। সেখানে আমি কতটা দিতে পেরেছি সেটা নিয়েও টেনশনে আছি, এর কারণে ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না!
পরিচালক সুমন ধর বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিন্ন ধর্মী কনটেন্ট দেখার জন্য আমাদের দেশিয় দর্শকও ওটিটিতে ঝুঁকছেন। ‘শেষ চিঠি’র মাধ্যমে চেষ্টা করেছি দর্শকদের নতুন গল্প উপহার দেয়ার।