সংসার করতে রাজি নয় মেয়ে, তাই কথার ছলে জামাইয়ের সাথে সংসার করার কথা বলেন শাশুড়ি। আর এর পরেই জামাইয়ের সাথে শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্ক আছে সন্দেহে সালিশি সভায় রায় দেওয়া হলো যে, জামাইয়ের সাথে শাশুড়ির বিয়ে দেওয়া হবে। ঘটনাটি বাংলাদেশের। বাংলাদেশের গোপালপুরের কড়িয়াটা গ্রামের ঘটনা এটি।
জানা যাচ্ছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর সাথে বিয়ে হয় ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলীর। বিয়ের এক সপ্তাহ পরে ওই তরুণী জানান, তিনি আর সংসার করবেন না। শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদারের কাছে যান ওই তরুণীর আত্মীয়রা।
২০১৯এর ১৪ সেপ্টেম্বর সেখানেই বসে সালশি সভা। সালিশি সভায় প্রথমে তরুণীকে সংসার করতে বলা হয়। তাতে ওই তরুণী রাজি হননি। তখন তরুণীর মা রেগে গিয়ে উপস্থিত সকলের সামনে বলেন, “তুই সংসার না করলে, আমিই জামাইকে বিয়ে করবো।” এই মন্তব্যের পরে সালিশি সভায় উপস্থিতরা বলাবলি করতে থাকে যে, জামাই আর শাশুড়ির মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে।
সালিশি সভায় গ্রামের মাতব্বরদের চাপে বাধ্য হয়ে তরুণীকে তালাক দেন তার স্বামী। এরপরই ওইদিনই জামাই ও শাশুড়ির বিয়ে দেওয়া হয় জোর করে। জামাইকে বিয়ে করতে বাধ্য হন ওই মহিলা। সুবিচারের আশায় তিনি দ্বারস্থ হন পুলিশের। সালিশি সভায় উপস্থিত ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় থানায়। গোপালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”