প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গায় নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী পৌরসভার বেড়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী খোকন আহমেদ সৌদি প্রবাসী। গ্রেপ্তারের আগে ফেসবুক লাইভে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাকে মধ্যরাতে কেন ধরতে আসছেন? আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না। আমার ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা আছে। আমি তাদের রেখে আসছি। আমাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দেন। আমি স্বেচ্ছায় বের হচ্ছি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন বলে ফেসবুকে সবার উদ্দেশ্যে জানান।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোনিয়া গত ৩১ আগস্ট তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার ফেসবুকে সরকারের নানা উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা প্রকার মন্তব্য প্রচার করেন তিনি। ফলে সমাজে অনেক মানুষ ভুল তথ্য জানে।
এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় স্মৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলা বাদী সামসুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, সোনিয়া ৩১ আগস্ট আপত্তিকর পোস্টটি তার ফেসবুকে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে কয়েকদিন আগে আমার নজরে আসে পোস্টটি। আগেও এরকম আপত্তিকর কথা বলেছেন তিনি। আমি ৩ অক্টোবর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, সোনিয়াকে অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।