কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক অসহায় হতদরিদ্র নারীর ১০ শতক জমিতে আবাদ করা অর্ধশত পেঁপেগাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী বাগান মালিক।
সোমবার ভোররাতে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাক্কারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পেঁপে বাগানের মালিক ওই এলাকার সফর মুল্লুকের স্ত্রী খোরশেদা বেগম।
ভুক্তভোগী জানান, বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাক্কারপাড়া এলাকার সফর মুল্লুকের স্ত্রী খোরশেদা বেগম বাড়ির পাশে স্বামীর পৈতৃক ১০ শতক জমিতে বিগত এক বছর ধরে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে আসছেন। বাগানে প্রায় ৪০টির মতো উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের পেঁপেগাছ রোপণ করেন হতদরিদ্র খোরশেদা বেগম।
ওই বাগানে নানা ধরনের ফসল ফলিয়ে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার চালিয়ে আসছে তিনি। তার বাগানের প্রত্যেকটি পেঁপেগাছে থোকায় থোকায় প্রচুর পরিমাণ পেঁপে ধরেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ পেঁপে বাজারজাত করার উপযোগী হয়েছে।
একেকটি পেঁপেগাছে এক মণের বেশি ফলন হয়েছে। বাগানের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক সোমবার ভোররাতে নির্বিচারে বাগানের ফলনকৃত সব পেঁপেগাছ কেটে সাবাড় করেছে ফেলেছে।
এর আগেও দুর্বৃত্তরা বাগানের বেড়া কেটে নষ্ট করেছে। সর্বশেষ পেঁপেগাছ কেটে ফেলার ঘটনার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করেছেন বলে ভুক্তভোগী খোরশেদা জানান।
বাগানের মালিক খোরশেদা বেগম জানান, বাড়িতে আমার অসুস্থ স্বামী ছাড়া কেউ নেই। তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম যুগান্তরকে বলেন, হতদরিদ্র নারীর বাগানের সব পেঁপেগাছ নির্বিচারে কেটে বিলীন করে দেওয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন।
এতগুলো পেঁপেগাছ কেটে ফেলার বিষয়টি খুবই নিষ্ঠুর ও জঘন্য কাজ উল্লেখ করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন এ জনপ্রতিনিধি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, বিএমচরে অনেকগুলো পেঁপেগাছ কেটে ফেলার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।