নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফিরোজ আহমেদ (৪৮)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। আর ওই শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী আজ সকাল ১০টার দিকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় বিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে যান বাবা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে ওঠে চলে গেছে।
পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন মেয়ে ও প্রধান শিক্ষক রাজশাহীতে অবস্থান করছে। পরে প্রধান শিক্ষকের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর ভদ্রা এলাকার একটি বাসায় তাদের সন্ধান পান। এ সময় মেয়েকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক বাধা দেন। পরে তারা থানা পুলিশের কাছে গেলে ওই সুযোগে প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি রাজশাহীতে মেয়েকে খুঁজছেন। তবে এখনো সন্ধান পাননি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে গুরুদাসপুর থানায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদসহ তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেম। তিনি বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।