কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল ও জোবায়ের হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন আলী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার আলী ওই দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত আজ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলে রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী।
প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক, চারজন সহকারী শিক্ষক, একজন অফিস সহকারী ও একজন অফিস পিয়নসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভুরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজহার আলী বলেন, আজ রিমান্ড শুনানি ছিল। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও যুবায়ের হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া এর আগে কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তবে মামলার স্বার্থে তদন্ত চলমান থাকবে আমাদের।