নতুন বাসা ভাড়া নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন (২২) খুন হন। এ ঘটনার ৩০ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক স্বামী রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বাবুপাড়ার এক বাসা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সোনিয়া ফরিদপুর জেলার বিলবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর গ্রামের মো. রুবেল হোসেনের স্ত্রী। তারা ঈশ্বরদীর বাবুপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নেন। নিহত সোনিয়া ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরি করতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর রুবেলের গ্রামের বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু বলেন, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ স্বজনরা এসে দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করেছে তারা। সকাল ৮টার দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় তার পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের খালাতো বোন নারগিস খাতুন জানান, সোনিয়া তাকে ফোনে জানিয়েছে তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন ফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়। রুবেল-সোনিয়া দম্পতির হামিম নামে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাকে নিয়ে রুবেল পলাতক হয়েছিল।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার জানান, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সিআইডি ও পিআইবি আলামত সংগ্রহ করেছে।