দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি আবারও তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে। সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ডের পদত্যাগের পর ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের পথে হাঁটছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির সার্ভার চালু করা হবে। আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে জুন ২০২১ থেকে গ্রাহকের যে টাকা এসক্রোতে আছে সেগুলো রিফান্ড করা শুরু হবে। এর মধ্যে এসএসএল কমার্স ব্যাংক ডিপোজিট টাকাগুলো ১-৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিফান্ড করা হবে।
সূত্র জানায়, বিকাশ, রকেটসহ সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই রিফান্ড করা হবে। তবে নগদ গেটওয়ের রিফান্ড পেতে একটু সময় লাগবে। নগদ ব্যাংকিংয়ের টাকা ফেরত পেতে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।
যেসব গ্রাহকরা পণ্যের জন্য ৩০ জানুয়ারি ২০২১ এর আগে অর্ডার করেছেন, তাদের টাকা রিফান্ড পেতে এখন থেকে আরও এক বছর সময় লাগবে। আর যাদের অর্ডার ৩০ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৬ জুন ২০২১ তাদের টাকা রিফান্ড হতে সময় লাগবে এখন থেকে আরও দেড় বছর। যেসব গ্রাহকদের কাছে ইভ্যালি থেকে দেওয়া রিফান্ডের চেক আছে এবং যেহেতু চেকের সময় ৬ মাস পেরিয়ে গেছে, এসব চেক’কে বলা হয় বাসি চেক। এ ধরনের চেকের বিপরীতে ব্যাংক কখনো টাকা দেয় না। তাই ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ সেই চেকগুলোও ফেরত নেবে।
ইভ্যালির পোস্টে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে গ্রাহকদের সব বকেয়া দেনা পরিশোধ করবে ইভ্যালি। তাই তারা গ্রাহকদের ইভ্যালির প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিয়মিত পণ্য অর্ডারেরও প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এখন গ্রাহকদের টাকা কোথাও যাওয়ার কোনও স্কোপ নেই।
বর্তমান ইভ্যালির বিজনেস মডেল সম্পর্কে জানিয়েছেন, এবারের বিজনেস মডেল হবে COD (Cash on Delivery), অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ এবং PnP (Pick and Pay), মানে পণ্য পিকাপ পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করে মূল্য পরিশোধ। এই দুটো সিস্টেমই চলতেই থাকবে।