স্বামীর বাসা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছন্দা রায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর মুগদা থানার মানিকনগর এলাকায় তার স্বামীর ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ছন্দা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। গত ৭ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। ছন্দা স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মুগদায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছন্দা গত মার্চে মাসে তার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করে রাবি ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন। তার পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
এদিকে ছন্দা রায়ের আত্মহত্যার ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছেন না বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা মঙ্গলবার দুপুরে রাবি ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে একটি মানববন্ধন করেন।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হলো ছন্দার। এরই মধ্যে এমন কী হলো যে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিল। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
ছন্দা রায়ের মেজোবোন দ্বীপা রায় জানান, তিন মাস আগে তারা তাকে বিয়ে দেন। তার স্বামী উত্তম কুমার রায় বাংলাদেশ ব্যংকের উপ-পরিচালক। স্বামীর চাকরির সুবাদে তার সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন ছন্দা। সোমবার বিকেলে শয়নকক্ষে ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, তার বোন মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। তাতে লেখা আছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। আমি তার হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি এটা ওরই হাতের লেখা। ছন্দা কেন আত্মহত্যা করল এটাই এখন আমাদের প্রশ্ন।
ছন্দার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, আমি অফিস থেকে দুপুরে ছন্দাকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে রেসপন্স করেনি। বিকেলে এসে দরজা ভিতর থেকে আটকানো ছিল। বারবার ডাকার পরও দরজা না খোলায় আমি বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সুইসাইড করেছে ছন্দা।