প্রতিদিন সারাদেশে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে কেউ মারা যাচ্ছেন আবার কেউ গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন নানা কোন পদক্ষেপ। এরই মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলার শুখনগরী থেকে দীপচর গামী একটি সড়কে দেখা গেছে অন্য চিত্র।
গত এক বছর যাবৎ মাদারগঞ্জ উপজেলার শুখনগরী থেকে দীপচর গামী সংযোগ সড়কের তৈরি হচ্ছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের পাশে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক উন্নয়ন কাজ করছেন সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ এলজিইডি।
সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ব্রিজ ও ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলেও সড়কের মাঝখানে থাকা হাই ভোল্টেজ বিদুৎতের খুঁটি প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেয় সড়ক দুর্ঘটনার কথা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ব্রিজসহ সংযোগ সড়ক। সড়কের ফলে ১১ হাজার ভোল্টেজ সম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার মাঝখানে পড়েছে। সড়কটি ঐ এলাকার অন্যতম সড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানবাহনের চাপ রয়েছে।
সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকায় যানজটও তৈরি হচ্ছে মাঝে মধ্যে। এ কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গেছে স্থানীয়দের কাছে।
আরও দেখা গেছে, সড়কটির নির্মাণ কাজের বক্স-কাটিং শেষে ইটের খোয়া ফেলে সেগুলো রোলার দিয়ে সমান করার (ডব্লিউভিএম) কাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু সড়কে ১১ হাজার ভোল্টের তার বহনকারী বিদ্যুতের খুঁটি রয়েই গেছে।
ব্যটারিচালিত অটোরিকশাচালক লতিফ বলেন, আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তার পাশেই ছিল চলাচলে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি কিন্তু এখন রাস্তা বড় করায় বিদ্যুতের খুঁটি একেবারে রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। বিদ্যুতের খুঁটি তাড়াতাড়ি সরানো প্রয়োজন। না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মাদারগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি এর জোনাল অফিসের ডিজিএম জসিমউদদীন বলেন, ব্রিজটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে ওখানে কোনো রাস্তা ছিলো না। তবে ব্রিজ হওয়ায় ব্রিজের এফরোজ তৈরি করা হচ্ছে এফরোজের মাঝখানে একটি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে আমি দেখেছি। খুঁটি সরানোর জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু খুঁটি সরানোর জন্য লিখিত কোনো আবেদন আমরা হাতে পায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, রাস্তা নির্মাণ নয় ব্রিজ ও ব্রিজের এফরোজের কাজ চলমান আছে। ব্রিজের এফরোজে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ফেলার জন্য পল্লী বিদ্যুতের মাদারগঞ্জ ডিজিএম বরাবর আবেদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবেদন করার কথা ছিলো তিনি না করায় আমরা নিজেরাই আবেদন দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হবে।