রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীকে কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্যাতনের অভিযোগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি লালবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ইডেন কলেজের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রাজধানীর লালবাগ থানাকে তদন্ত করে আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতের পেশকার তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নূর-ই আলম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আমির আলী, আনোয়ার হোসেন মনির, সরকার রাশেদুল ইসলাম, আবুল কালাম ও মাজেদুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল, মামলার সাক্ষী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে রিভা ও রাজিয়ার নির্দেশে আসামি আনিকাসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর কক্ষে প্রবেশ করেন। তবে তাকে রুমে না পেয়ে তার ব্যবহারিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ নিয়ে যান। এসময় ভুক্তভোগী রুমে আসার পথে তাকে ঘিরে ফেলেন আসামিরা। তাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও মাথি মেরে বিভিন্নস্থানে জখম করেন।
প্রসঙ্গত, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেত্রীদের সিট বাণিজ্য ও নানা অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী। এ ঘটনায় তার ওপর চড়াও হন নিজ সংগঠনের নেত্রীরা।