দেড় মাস আগে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন হিমালয়-বন্যা। আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে দেখেছিলেন নানা স্বপ্ন। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পরিবারের সবার সঙ্গে মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে ধর্মসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানে গিয়ে করতোয়ার পানিতে স্নান করে পাপমুক্তির আশা ছিল। তবে কে জানত সেই করতোয়ায় বিচ্ছেদ ঘটাবে তাদের।
বলছিলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি খালপাড়া গ্রামের নবদম্পতি হিমালয় চন্দ্র ও বন্যার কথা। মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়ার পূর্ব পাড়ে বোদেশ্বরী মন্দির দর্শনের উদ্দেশে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে নিখোঁজ রয়েছেন স্বামী হিমালয়। তবে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে নিজের কাপড় খুলে প্রাণে বাঁচেন বন্যা। কিন্তু আকড়ে রাখতে পারেননি স্বামীকে। তাদের সঙ্গে থাকা হিমালয়ের মামাতো বোন আঁখিরও খোঁজ মেলেনি।
হিমালয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে ওই গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ-সারদা রানী দম্পতির ছেলে হিমালয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বন্যার। ঘটনার দিন খুব আনন্দে সেজে বের হয়েছিলেন বন্যা-হিমালয়। ফিরে এসে পূজার কেনাকাটা করার কথা ছিল তাদের।
এদিকে রোববার থেকে হিমালয়ের খোঁজে করতোয়ার পাশে অপেক্ষা করছেন দুলাভাই গ্রীবাবু। তবে রাত পেরিয়ে দুপুর গড়ালেও মেলেনি হিমালয়ের খোঁজ।
গ্রী বাবু বলেন, গতকাল থেকে হিমালয়ের অপেক্ষায় আছি এখানে। কেউ খোঁজ দিতে পারে না। বাড়িতে বন্যা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে সবাই অপেক্ষা করছে। জীবিত না হোক লাশটা নিয়ে ফিরব আমি।