পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬৫ জন।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোদা থানার ওসি সুজন কুমার রায়।
সকালে করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি বলেন, ভোর ৬টা থেকে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীর তিনটি ডুবুরি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছে। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। অতীত অভিজ্ঞতা ও নদীর প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের কেউ দুর্ঘটনাস্থলে নেই। তার পরও প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এ ঘটনায় জরুরি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। তথ্যকেন্দ্রের তথ্যমতে, প্রতিনিয়ত নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। সবশেষ তথ্যানুযায়ী, এখনো ৬৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় মৃত ২৫ জনের নাম ও পরিচয় জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ নারী, আট শিশু ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। তাদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা, দেবীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।
এর আগে রোববার পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে শিশু, নারীসহ ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহালয়া পূজা উপলক্ষ্যে করতোয়া নদীতে নৌকা দিয়ে পার হচ্ছিলেন প্রায় ১০০-এর অধিক সনাতন ধর্মের মানুষ। নৌকাটি নদীর মাঝখানে গেলে মোড় নেওয়ার সময় ডুবে যায়। এ সময় উপস্থিত জনগণ প্রশাসনসহ স্থানীয়ভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলে মোট ২৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় একজনের। এ ঘটনায় অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি লাশ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।