অবশেষে দু’দিন পর বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষক বিভূতি মোহন সরকারকে (৫৩) পাওয়া গেল। আজ আবারও তার স্ত্রীর সঙ্গে গেলেন ভারতে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত একটায় যশোরের চাঁচড়া মোড় এলাকা থেকে তাকে পাওয়া যায়। বিভূতি মোহন সরকার মাগুরা সদর থানার নান্দুয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নবকুমার সরকারের ছেলে।
গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীর সাথে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তিনি মাগুরা শ্রীপুর কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে অবসরে আছেন।
বিভূতি মোহনের স্ত্রী ববিতা রানী জানান, গত শুক্রবার বিকালে তার স্বামীকে নিয়ে তিনি ভারতে যাচ্ছিলেন। ওইদিন তারা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে ভারতে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তিনি তার অসুস্থ স্বামীকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে করোনা পরীক্ষার ভ্যাকসিনের কাগজ ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জমা দিতে গিয়ে ফিরে এসে দেখেন তার স্বামী নেই। পরে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান তার স্বামী (বিভূতি মোহন সরকার) আবার বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। শেষে ববিতা রানি ওই দেশের ইমিগ্রেশনের সিল বাতিল করে দেশে ফিরে এসে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখতে পান, তার স্বামী দেশে ফিরে এসেছেন। এসময় তিনি (স্ত্রী ববিতা) বেনাপোলের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে নিকট আত্মীয়দের খবর দেন। তাদের সহযোগিতায় ওইদিন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
তিনি বলেন, অনেক খোঁজাখুজির একপর্যায়ে যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ তাকে যশোরের চাঁচড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে আমাদের খবর দেন। ফাঁড়ি থেকে রবিবার সকালে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। আমার স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আজ আবার ভারতে যাচ্ছি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ নিখোঁজ শিক্ষক বিভূতি মোহন সরকারকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজ হওয়া শিক্ষককে যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ চাঁচড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ওই শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য পুনরায় ভারতে নিয়ে গেছেন তার স্ত্রী।