নিখোঁজ হওয়ার ২৮ দিন পর মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে (৫২) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনার দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল হায়দারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাঁকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে। রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর করা মামলার তদন্ত করছিলেন লুৎফুল।
খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের একটি দল তাঁকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, রহিমা বেগম আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তাঁকে খুলনায় আনা হচ্ছে। বোয়ালিয়া এলাকা থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় উদ্ধার হওয়া এক নারীর মৃতদেহের পোশাক দেখে তাঁকে নিজের মা বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নান। তবে শনিবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়ে মরিয়ম মান্নান জানান, খুলনার পুলিশ সুপার তাঁর মায়ের সন্ধান পাওয়ার কথা ফোন দিয়ে জানিয়েছেন।
গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই নারী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র’। এ নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এরপর শুক্রবার দুপুরে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘লাশটি পচাগলা অবস্থায় পেয়েছেন তাঁরা। আমি অফিশিয়াল প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার মায়ের কপাল, আমার মায়ের হাত, আমার মায়ের শরীর—আমি কিভাবে ভুল করি। ’