খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে (৫২) অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক পরিচিতের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ।
নিখোঁজের প্রায় একমাস পর আজ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বোয়ালমারী থানা এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মহানগরের একটি দল।
খুলনা মহানগরের দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, অভিযান পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে তিনিও ফরিদপুর গিয়েছেন। রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে তাঁরা এখন খুলনার পথে।
রহিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন জানিয়ে ওসি বলেন, ‘তিনি সেখানে কুদ্দুস মোল্ল্যা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন। ২৮ বছর আগে এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে তিনি স্বাভাবিকভাবে থাকছিলেন। কিন্তু উদ্ধার করার পর তিনি আর কথা বলছেন না।’
এদিকে এ ঘটনার পরই ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তিনি লিখেছেন, ৭১ টিভি এবং প্রথমআলো থেকে আমাকে কল দিয়ে আমাকে জানালো আমার মা’কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার পুলিশ সুপার কল দিয়ে জানালেন আমার ছোট বোনকে আমার মা’কে পাওয়া গিয়েছে। আমার থেকে খুশি এই মুহুর্তে কেউ নেই।আমি এই মুহুর্তে খুলনা যাচ্ছি। ধন্যবাদ সকলকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা। এরপর থেকে প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।