দুই হাত একসঙ্গে মেলাবেন এই আশায় বিয়ে আয়োজনের জন্য বাগদত্তাকে বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ১ কোটি টাকা দেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি! শেষমেশ জানতে পারেন, ওই নারী ইতোমধ্যে বিবাহিত। তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এই ঘটনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের নথিতে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তি বিয়ের আয়োজনের জন্য ওই নারীকে যে এক কোটি টাকা দিয়েছেন তা ফেরতের দাবি জানান। সেই সঙ্গে তিনি এতদিন ধরে যে প্রতারণার শিকার এজন্য আরও ৫৬ হাজার টাকার বেশি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। প্রায় এক বছরের মতো তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলে। এরপর ওই ব্যক্তি অভিযুক্ত নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
ওই নারী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। কিন্তু বিয়ের আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য টাকা চান। এরপর ওই ব্যক্তি অভিযুক্ত নারীকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা পাঠান।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি বলেন, ওই নারী ক্রমেই বিয়ের তারিখ পেছাচ্ছিলেন। এরপরেই তার সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে তিনি ওই নারীর বিষয়ে এক প্রকার তদন্ত শুরু করেন। জানতে পারেন, ওই নারী বিবাহিত। যদিও বলেছিলেন, তিনি সিঙ্গেল।
এসব জানার পর তিনি ওই নারীকে টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান ওই নারী। এরপর বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন ভুক্তভোগী ব্যক্তি। আদালতে তিনি টাকা পাঠানোর তথ্য এবং হোয়াটসঅ্যাপে তাদের বার্তা আদান-প্রদানের প্রমাণ দেখান।
তবে আদালতে ওই নারী টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। দাবি করেন, তা উপহার ছিল। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি তিনজন সাক্ষী হাজির করে প্রমাণ করেন টাকাটা বিয়ের আয়োজনের জন্য তিনি তাকে দিয়েছিলেন।
দুই পক্ষের কথা শুনে আদালত, অভিযুক্ত নারীকে পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন, সেইসঙ্গে আরও ৫৬ হাজার টাকা দিতে বলেন।