ছোট বোনের স্বামী জুলহাসের প্রেমে পড়েন শীলা। ওই প্রেমে আসক্ত হয়ে দেড় বছর আগে ছেলে তাওসিফকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান শীলা। এরপর জুলহাসের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শিমুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তাওসিফের লাশ নিয়ে সাবেক স্বামী জামাল উদ্দিনের কাছে হাজির হন শীলা। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা শীলা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন স্ত্রী শীলা বেগম ও তার প্রেমিক জুলহাসকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। তবে এরপর থেকেই জুলহাস পলাতক রয়েছেন। তাওসিফ উপজেলার ভোলাবো ইউপির পাইস্কা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওই শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে স্ত্রী শীলা তার ছোট বোনের স্বামী জুলহাসের প্রেমে আসক্ত হয়ে ছেলে তাওসিফকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে জুলহাসের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শিমুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তাওসিফের লাশ নিয়ে শীলা হাজির হন।
তিনি আরো জানান, প্রথমে সে জানান তাওসিফ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ সময় আমার ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে তাকে চাপ দিলে সে বলে, ছেলে ফাঁস দিয়েছে। আমার ধারণা, শীলা ও তার প্রেমিক জুলহাস আমার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত শিশুর বাবা। এরই মধ্যে ওই শিশুর মা শীলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।