সদ্য শেষ হওয়া নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এতে দেশের ক্রিড়া অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বয়ছে আনন্দের শীতল বাতাস। আর ফুটবলারদের আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে দেশের বিশিষ্ট মহল। বিসিবি ও তমা গ্রুপ ফুটবলারদের জন্য ৫০ লাখ করে ১কোটি টাকা পুরুষ্কার ঘোষণা করেছে।
অন্য দিকে ফুটবলে বিজয়ী বাংলাদেশের রুপনা চাকমার ঘর বানানোর দায়িত্ব নিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে এমন ঘোষণা দেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাফ ফুটবলে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা দেশের জন্য অনেক সুনাম বয়ে এনেছে। এ সফলতার পেছনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এই নারী ফুটবল টিমের গোলরক্ষক রুপনা চাকমার বাড়ি দেখলাম। বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তার মা। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি কোনো থাকার মতো পরিবেশ উপযোগী কোন ঘর না।
তিনি বলেন, আমি গোল রক্ষক রুপনার ঘর বানানোর দায়িত্ব নিলাম। আমি আমার ফুটবল টিমের সবার সঙ্গে বসে পরামর্শ করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে সুমন বলেন, এতদিন ঘুমিয়ে থাকার পর আজ আমাদের মেয়েরা প্রমাণ করেছে যে কতটুকু সক্ষমতা। নেপালকে ৩-১ গোলে হারানোর পর নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের মেয়েদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, আমাদের যে সক্ষমতা আছে, সেটা আমাদের মেয়েরা প্রমাণ করেছে। এজন্য নারী ফুটবল টিম এবং টিমে থাকা সবাকে ধন্যবাদ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এমন কথা বলেনলাইভে সুমন আরও বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেতৃত্ব যতো দেরিতে সালাউদ্দিনদের সরাবেন তত দেরি হবে আমাদের ফুটবলের পুনর্জাগরন। তাই অনুরোধ করবো, এদের এই বৃত্ত থেকে, এদের দুষ্টচক্র থেকে আমাদের বাঁচান। দেখবেন আমাদের ফুটবল কোথায় নিয়ে যাই।
বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে সুমন বলেন, প্রথমেই নারী ফুটবল টিম এবং টিমে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেয়েরা যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছে এটাই ছিল বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একটা সময় ছিল, কায়সার হামিদদের সময়ে, কোনো দেশকে পাত্তাই দিতো না। তখন বাংলাদেশ হেসেখেলে সাতটা-আটটা করে ভুটানকে গোল দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী আরও বলেন, আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, কোনোদিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেতা হতে যাবো না। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সালাউদ্দিন সাহেব, এই সালাম মোর্শেদী সাহেব যারা আছেন, তারা থাকলে দেশের উন্নয়ন তত বেশি দেরি হবে। এরা হচ্ছে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হওয়া নেতৃত্ব। যারা বাংলাদেশের এই ছেলেদের ফুটবলটারে অন্তত ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।