ছোট বোনের শিক্ষা সনদ দিয়ে কুড়িগ্রামে একটি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন বড় বোন সালমা। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ হলে ছোট বোন রুনা খাতুনও শুরু করেন একই চাকরি। ছোট বোন বিয়ে না করে হয়েছেন সন্তানের মা। বড় বোনের স্বামীকে নিজের স্বামী এবং তাদের সন্তানকে নিজের সন্তান দেখিয়ে পূরণ করেন বিভিন্ন তথ্য।
সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম ইএফটি-তে বেতন উত্তোলন ফরম পূরণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে জালিয়াতির এসব তথ্য।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দ্বীপচর পোড়ারচরে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে কুড়িগ্রাম আরজি পিপুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয়। শুরু থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বড় বোন সালমা চাকরি করলেও পরে একই পদে যুক্ত হন ছোট বোন রুনা।
কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রুনার বোনজামাই নজরুল ইসলাম বলেন, এসব ভুলে হয়েছে।
অপরদিকে শিক্ষাসনদ অনুযায়ী, রুনা খাতুনের জন্ম ১৯৯৫ সাল হলেও ২০১০ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় উল্লেখ করা হয় ১৯৯০ সাল। এমনকি ২০১৪ সালে রুনা খাতুনের নামে প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ট্রেনিং করেন বড় বোন সালমা। তবে এসব ঘটনার কিছুই জানেন না বলে জানান বর্তমানে শিক্ষকতা করে আসা রুনা খাতুন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, সুপারিশপত্রে যাদের নাম এসেছে, আমারা তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। সরকারি চাকরিতে প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।