বিড়ালের চিৎকারে ভাঙল ঘুম, ঘরে গিয়ে সবাই দেখলেন তয়না আর নেই

সকাল না হতেই ভোরে বিড়ালের ডাকে ঘুম ভাঙে মা-বাবার। বিড়ালকে থামাতে ছুটে যান মেয়ের ঘরে। আর যেতেই দেখা মেলে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে ১৮ বছর বয়সী তয়না আক্তার।

ঘটনাটি শরীয়তপুরের। বৃহস্পতিবার ভোরে পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তয়নার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তয়না শরীয়তপুর পৌর শহরের তুলাসার গ্রামের নুরুজ্জামান ফকিরের মেয়ে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

স্বজনরা জানান, তয়নার সঙ্গে একই কলেজের নয়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তিন বছরের। নয়নের সঙ্গে আরেকটি মেয়ের ছবি দেখে কথা কাটাকাটি হয় তয়নার। এরই জেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা তাদের।

পুলিশ জানায়, কিছুদিন ধরেই নয়নের সঙ্গে তয়নার মনোমালিন্য চলছিল। এ সুযোগে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন নয়ন। বুধবার রাতে তয়নার মেসেঞ্জারে নয়ন আর ওই মেয়েটির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পাঠান কেউ একজন। ছবি দেখার পর রাতে বন্ধুদের এসএমএস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তয়না। ভোরে বিড়ালের ডাকে ঘুম ভাঙে তয়নার পরিবারের লোকজনের। বিড়াল খুঁজতে গিয়ে মেয়ের ঝুলন্ত দেখেন তারা।

নিহতের বাবা নুরুজ্জামান ফকির বলেন, বুধবার রাতেই আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় অনেক গালিগালাজ করেছে নয়ন। বলেছে- ‘তোর সঙ্গে এতদিন সম্পর্ক করেছি টাইম পাস করার জন্য। তুই একটা ড্রাইভারের মেয়ে, খারাপ মেয়ে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার সোনার টুকরা মেয়ে এমনে চইলা যাইব যদি জানতাম, সারা রাত আমি পাহারা দিতাম। আইনের মাধ্যমে আমি ওই নয়নের বিচার চাই।’

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতার হোসেন জানান, প্রেমের জেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হবে।