কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শেখ জাকিরের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শেখ জাকির বাঙ্গরা পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান। আসামি আকরাম হোসেন (৩২) ওই চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও বাঙ্গরা গ্রামের শেখ রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে বাঙ্গরা বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আকরাম হোসেন দৌলতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে ফুয়াদ আল সাইদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় ওই রাতেই। ঘটনার তদন্ত শেষে থানায় নিয়মিত মামলা হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে বের হয়ে বাঙ্গরা বাজারেই তাঁকে পেয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় পথে লোকজন নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের কাছে ওয়ারেন্টের কপি দেখতে চান চেয়ারম্যান শেখ জাকির। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি করে লোকজনের সহায়তায় ভাইকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন জাকির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান শেখ জাকির মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আকরামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নেওয়ার সময় ওয়ারেন্টের কপি দেখতে চাই। এ সময় এক কনস্টেবল আমার বুকে লাথি মারলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপর উপস্থিত লোকজনের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। এর পরের ঘটনা আমি আর বলতে পারছি না। ’
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান শেখ জাকিরের ছোট ভাই আকরামের বিরুদ্ধে মামলা ছিল। এসআই রনি চৌধুরী তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন আকরামকে ছিনিয়ে নেন। আমরা ফোর্স সংখ্যা বাড়িয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আছি।