মা হওয়ার পর কীভাবে দিন কাটছে পরীমনির

তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। তবে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে তার অনুরাগী, এমনকি সমালোচকদেরও আগ্রহ যেন একটু বেশিই। এর পেছনে আছে নানা কারণ।

এই নায়িকার লাইফ স্টাইল, মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া, জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে হাতে লিখে বিশেষ বার্তা দেওয়া, একাধিক প্রেম এবং বিয়ে- পরীমনির প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মানোর জন্য এসব কি যথেষ্ট নয়? তবে আপাতত আগ্রহের কেন্দ্রে মা হওয়ার পর কীভাবে দিন কাটছে ঢালিউডের সবচেয়ে আলোচিত এই অভিনেত্রীর।

এ সম্পর্কে জানতে ঢাকা টাইমস যোগাযোগ করে পরীমনির সঙ্গে। কীভাবে দিন কাটছে, পরিবারের নতুন সদস্য আছেই বা কেমন? পরীমনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি, আপনাদের ভাগ্নেও (ছেলে) অনেক ভালো আছে।’

দিন কীভাবে কাটছে- এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরীমনি বলেন, বাইরের সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি। আপাতত শাহীমকে নিয়েই আমার দিন-রাত। আমি ওকে প্রোপার সময় দিতে চাই এবং দিচ্ছি। যা একটা বেবির জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, আপাতত ওর দেখভাল করেই দিন কাটাচ্ছি।’

গত ১০ আগস্ট রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পরীমনি। বাবা হন অভিনেতা শরীফুল রাজ। সন্তান জন্মের আগপর্যন্ত এই তারকা দম্পতি জানতেন না যে তারা ছেলে নাকি মেয়ের অভিভাবক হচ্ছেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সন্তান জন্মের আগেই এ সম্পর্কে জানা গেলেও তারা আগ্রহ দেখাননি বলে জানান।

পরীমনি ও রাজ তাদের পুত্রসন্তানের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। স্বামী রাজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের এই নাম পরীমনিই রেখেছেন।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ। সেই খবর নায়িকা প্রকাশ করেন চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। সেদিন এক ফেসবুক পোস্টে পরীমনি এও জানান, তিনি রাজের সন্তানের মা হতে চলেছেন। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় দিন গণনা। সেই অপেক্ষা শেষ হয় গত ১০ আগস্ট।

এদিকে আনন্দের মাঝেই পরীমনির মাথার ওপর ঝুলছে দুটি মামলা। তার মধ্যে একটি মাদকের। এ মামলাটি গত বছরের ৪ আগস্ট পরীমনি তার বনানীর বাসা থেকে আটক হওয়ার পরদিন র‌্যাব বাদী হয়ে করেছিল। প্রায় এক মাস জেল খেটে সেই মামলায় বর্তমানে নায়িকা জামিনে রয়েছেন।

গত ৬ জুলাই অন্য মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে। সাভারের বোট ক্লাবে ভাঙচুর, ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে মামলাটি করা হয়। গত ১৮ জুলাই মামলাটি আমলে নেয় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং তদন্তভার দেয় সিআইডিকে।