দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৩১৫ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ নয় হাজার ৭৯৭ জন।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮০টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দুই হাজার ২৬৬টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ২৬৫টি। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৪২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ ২০৪টি।এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।