মামুনের কারণে অশান্তিতে ছিলেন শিক্ষিকা, বিয়ের পরই জড়ান মামলায়

নাটোরের কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সংসার গড়া খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা খায়রুন নাহারের সংসার মাত্র ৮ মাসেই জীবনের বিনিময়ে পরিসমাপ্তি ঘটলো। এ ঘটনায় স্বামী মামুনের দায় দেখছেন শিক্ষিকার ভাগ্নে নাহিদ হোসেন (৩০)।
রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ভাগ্নের দাবি, মামুনের কারণে অশান্তিতে ছিলেন তার খালামনি।

নাহিদ হোসেন বলেন, আমার খালামনির স্বামী মামুন একজন নেশাখোর। বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত সে ৫ লাখ টাকা ও একটি পালসার মোটরসাইকেল নিয়েছে। সম্প্রতি ওই মোটরসাইকেল তার ভালো লাগছে না এমন কথা জানিয়ে আরো দামি মোটরসাইকেল চেয়েছে। এ নিয়ে তার খালামনি মানসিক চাপে ছিলেন।

এছাড়াও সম্প্রতি গুরুদাসপুরে মাদক নিয়ে কিছু বখাটের মধ্যে গোলমাল হয় বলে তথ্য দিয়েছেন নাহিদ হোসেন। ওই ঘটনায় মামুনকে আসামি করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মানসিক, পারিবারিক ও বিভিন্ন চাপে অশান্তিতে ছিলেন ওই শিক্ষিকা।

তিনি আরো বলেন, বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে নিজ আত্মীয়, সহকর্মী, পরিচিতজনরা বিভিন্ন সমালোচনা করেছেন। কেউ এটাকে পজিটিভ আবার কেউ নেগেটিভ দিক থেকে নিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে চাপে ছিলেন খাইরুন।

নাহিদ আরো জানান, খাইরুনের আগের স্বামী বা সন্তানের পক্ষ থেকে কোনো চাপের বিষয় তারা শোনেননি। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, তা তার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে বলে জানান এই যুবক।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নাটোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দীন জানান, জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। আর পিবিআই ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।