মামুনের বেপরোয়ায় প্রাণ যায় একজনের, মা করেন দুই বিয়ে

ইভটিজিং, মাদকসেবন ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকাজুড়ে সবসময়ই আলোচনায় থাকতেন কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের স্বামী কলেজছাত্র মামুন। এমনকি কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় মামুনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিহতের স্বজনরা। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মামুনের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাটপাড়া গ্রামে। মামুন ছোটবেলা থেকেই বখাটে ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তার পরিবার নিয়েও নানা জনশ্রুতি শোনা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, মামুন ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়া। ২ বছর আগে তার বেপরোয়া মোটরসাইকেলচাপায় পিষ্ট হয়ে পাশের সিধুলী গ্রামের গজেন ঘোষের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও এখনো ওই মোটরসাইকেল থানায় রয়েছে।

মামুনের গ্রামের বাড়ি ধারাবারিষা পাটপাড়া গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামুনের মায়ের প্রথম বিয়ে হয় পাশের সোনাবাজু গ্রামের শুকচাঁনের সঙ্গে। সেই সংসারে রাজু ও রায়হান নামে দুই ছেলে রয়েছে। তখন ওই এলাকার ইউপি সদস্য ছিলেন মামুনের বাবা মোহাম্মদ আলী। ওই সময়ে মামুনের মাকে মামি বলে ডাকতেন মামুনের বাবা।

একপর্যায়ে রাজু-রায়হানকে ছেড়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে মামুনের মা সংসার গড়েন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এই সংসারে মামুন ছাড়াও তার বড় দুই বোন রয়েছে। বোন দুজনের বিয়েও হয়েছে।

রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ভাগ্নের দাবি, মামুনের কারণে অশান্তিতে ছিলেন তার খালামনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নাটোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দীন জানান, জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। আর পিবিআই ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।