বলা হয়, বেশিরভাগ ভালোবাসার সম্পর্কের শেষ পরিণতি ভাঙন। একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে সবাই থাকতে চায়। তবে সেটা নির্ভর করে ভাগ্যের ওপর। একটি সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ কারণটা না বুঝেই সম্পর্কের ক্ষতি করে ফেলে। এখানে এর সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।
১. সম্পর্কের সীমা অতিক্রম
সবকিছুর একটা গণ্ডি নির্ধারণ করা থাকে। তার বাইরে যাওয়া উচিত নয়। তেমনি সম্পর্কেও যার যার সীমার মধ্যে থাকা উচিত। এটাই হলো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। তবে বেশিরভাগ মানুষ ভুলে যায় সেটা। তাদের ধারণা, একটা সম্পর্কে জাড়ানো মানে দুজন এক মানুষ হয়ে যাওয়া। নিজেকে একজন ভাবা যাবে না। যখনই একজন পুরোটা নিজের ভাবতে চায় তখনই বাঁধে বিপত্তি। এতে ক্রমেই সেই মানুষটি দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে হতে থাকে অপরের কাছে। এটা ক্রমেই মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে। এই যন্ত্রনার ভার আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনি নিতে চাবে না, ফলাফল বিচ্ছেদ।
২. পছন্দে-অপছন্দে বেশি অমিল
অনেকেই মনে করেন সম্পর্কে রসায়নের খুব প্রয়োজন নেই। আবার আরেক দল মনে করে, সম্পর্কে রসায়ন থাকাটাই জরুরি। দুটোর মধ্যেই সামঞ্জস্য রাখা উচিত। সম্পর্কে দুজনই একে অপরকে সময় দেন। আবার নিজের মতো করেও সময় কাটাতে চান। একজন এক বিষয়ে আগ্রহ থাকলে অন্যজনের আগ্রহ ভিন্ন বিষয়ে হতে পারে। এটা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। মতের অমিলও হতে পারে। তবে তার মধ্যে একটা সমতা থাকতে হবে। আপনি তার জন্য সঠিক সঙ্গী কিনা সেটার জন্য সময় চাইলে সময় না দিয়ে বেশি চাপ দিলেই সম্পর্কের ইতি টানতে হয়।
৩. ‘মাইক্রো চিটিং’ ও ছোটোখাট বিষয় গোপন করা
আপনি অবশ্যই এমন কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন না যে কিনা সবসবময় মিথ্যা বলছে বা কিছু লুকাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত এটাও একটা কারণ সম্পর্ক ভেঙে যাওযার। এখানে সে একদিকে যেমন আপনাকে মিথ্যা বলে যাচ্ছে, অন্যদিকে আপনার আবেগের সাথে খেলছে।
আবার, এখানে মাইক্রো চিটিং বলতে বলা হচ্ছে, আপনি যার সাথে ডেটিং করছেন সে কোনো প্রতারণা করছে না। তবে তার অনেক সূক্ষ্ম আচরণ আপনাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছে। আপনার মনে এমন চিন্তা আসে যে, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনি কোনো এক সময় হয়তো আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। তাই ভয়ে আপনিই সম্পর্ক থেকে আগে ভাগেই বের হয়ে এসেছেন। এখানে আসলে একজনের প্রতি অন্যজনের ব্যবহার বুঝিয়েছে যা প্রতারণনা নয়, কিন্তু কষ্টদায়ক।
৪. সম্পর্ক টিকিয়ে রাখায় অনিচ্ছা
যখন কেউ বুঝতে পারছে তার সঙ্গী সম্পর্কের প্রতি উদাসিন। সম্পর্ক টিকলেও সমস্যা নেই, আবার না টিকলেও সমস্যা নেই। দুজনের কেউ একজন এমন হলে অপরজন অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙে চলে যান।