মাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মেয়ে মিতা খাতুন। ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে আছে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শারীরিক প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে রিতা খাতুন। মঙ্গলবার রাতে বাবার লাঠি ও দায়ের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাদের মায়ের।
স্বজনরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে প্রায়ই ঝগড়া হতো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদবা গ্রামের কৃষক মতিয়ার ও তার স্ত্রী পারুল খাতুনের। এ নিয়ে প্রায় দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ বৈঠক করে মীমাংসাও করা হয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠি ও দা দিয়ে ঘাড় এবং মাথায় আঘাত করা হয়। এতে ঘরের বারান্দায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পারুল খাতুনের। ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মতিয়ার।
প্রত্যক্ষদর্শী শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে রিতা রাতে মোবাইলে নানাকে জানালে তারা এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত মতিয়ারকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি স্বজনদের। নিহত পারুল বেগম দুই সন্তানের জননী। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী ও ৮ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে রিতাকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন।
নিহত পারুলের ছোট মেয়ে রিতা খাতুন বলেন, লাঠি দিয়ে মারার সময় ঘুম ভেঙে যায়। খুব জোরে জোরে মাকে মারতে থাকে। এর পর ঘর থেকে বের হয়ে দেখি মা পড়ে আছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করলেও মা কোনো উত্তর দেয়নি। আর বাবা বাড়ি থেকে চলে যায়। এর পর বাড়িতে থাকা ফোনে নানাকে জানাই।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।