রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তবে তাকে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার রিট আবেদনকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হকের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, আইনের বিধান বাস্তবায়ন করেন। বিধান হলো, অভিযোগ দুদককে জানাতে হবে। দুদকে আবেদন দিয়ে আসেন। দুদক পদক্ষেপ না নিতে চাইলে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন।এর পর আদালত রিটের শুনানি ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিটে ওসি মনিরুলের সম্পদের অনুসন্ধানের নির্দেশনার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশপ্রধান, দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের এ আইনজীবী।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে ওসি মনিরের বিরুদ্ধে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান।
বিষয়টি আদালতের নজরে এনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, বিষয়টি আদালতের নজরে আনা দরকার। দুদকের তদন্তের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য সৎ পুলিশ অফিসার আছে, কিন্তু এই ওসির মতো যদি সবাই এত সম্পদ বানান, তা হলে সৎ অফিসার যারা, তারা মনে অনেক বেশি কষ্ট পাবেন। ফলে দেশে আর সৎ অফিসার নাও হতে পারেন।