সুন্দরবনে খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছেন রাজু হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির তাকে আক্রমণ করে।
রাজু হাওলাদারের বাড়ি পূর্ব সুন্দরবনসংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী গ্রামে। বাবার নাম নজির হাওলাদার। রাজু হাওলাদার রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজু হাওলাদার গোসল করতে নামলে একটি কুমির তার ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে কামড়ে ধরে। তখন রাজু কুমিরটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। চোখে আঘাত পেয়ে কুমিরটি রাজুকে ছেড়ে দেয়। তখন সে দ্রুত উপরে উঠে আসে। তার ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে অনেকটাই সুস্থ।
সাইফুল বারী আরও বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায়ই বড় বড় দুটি কুমির দেখা যায়। তাই বন বিভাগের পক্ষ থেকে খালে নামতে নিষেধ করা হয়। তারপরও স্থানীয়রা খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামে। ফলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
রাজু হাওলাদার জানান, ‘আমি ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। বাজুয়া এসএন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজে ভর্তি হয়েছি। বাড়ি এসে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হবো কল্পনাও করিনি। প্রচণ্ড ভয় পেলেও সাহস হারাইনি। কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছি এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।’