সামান আলী সরকার। একদম সাদাসিধে ভালো মনের মানুষ। তবে সম্প্রতি মিরপুরের স্টার সিনেপ্লেক্স শাখায় ‘পরাণ’ সিনেমা দেখতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন এই প্রবীণ। লুঙ্গি পরে সিনেমা দেখতে গিয়েই মূলত সিনেমার টিকিট কাটতে পারলেও পারেননি হলের ভেতরে যেতে। কারণ তিনি লুঙ্গি পরা ছিলেন।
এরইমধ্যে ওই বৃদ্ধের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তোপের মুখে ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’ কর্তৃপক্ষ। আর তাই দ্রুততম সময়ের মাঝেই যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করে। এমনকি এই দৃশ্য দেখে ‘পরাণ’ নায়ক নায়িকারাও সেই সামান আলির সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান। সিনেপ্লেক্সকেও ধন্যবাদ জানান এতটা দ্রুত ভুল বোঝাবুঝির অবসান করায়।
এদিকে এই ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ১১ টায় মিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে আলোচিত এই প্রবীণের সঙ্গে তোলা বেশকিছু ছবি শেয়ার করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শরীফুল রাজ সহ আরো অনেকেই। এছাড়া সামান আলী নিজ অনুভূতি জানান গণমাধ্যমে।
তিনি বলেন, ঢাকায় আমার ছেলে থাকে। মাঝে মাঝে ছেলের কাছে বেড়াতে আসি। ছেলের কাছে এলেই ছেলেকে না জানিয়ে চুপি চুপি সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখি। ছোটবেলা থেকেই আমার ছবি দেখার অভ্যাস বেশি। এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছি তাই ছবি দেখার কথা ছেলেদের বলতে পারি না। নিজেই চুপ করে ছেলের বাসার কাছের সনি হলে যাই।
এর আগেও যতবার ঢাকায় এসেছেন সনি হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন তিনি। তখন সনি হল ছিলো সিঙ্গেল স্ক্রিন। এখন সেটা সিনেপ্লেক্স হয়েছে। তাই এবার ছবি দেখতে গিয়ে কিছুটা বিব্রত হতে হয় তাকে। তবে সেই বিব্রতকর অবস্থার শেষটা দারুণ হয়েছে তার জন্য।
তিনি আরো বলেন, একজন নায়িকা আছে না মিম। ওর ছবি ভালো লাগে। শুনি সে নাকি খুব ভালো অভিনয় করছে একটা ছবিতে। তাই আমি গেছি ‘পরাণ’ ছবি টিকিট কাটতে কিন্তু সেখান থেকে জানায় লুঙ্গি পরা লোক হলে ছবি দেখতে পারবে না। পরে আমি ফেরত আসি।
ওই ভিডিওটার জন্য হলের মালিকরা আমার ছেলের ফোন নম্বার যোগাড় করে আমাকে ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ছবির নায়ক নায়িকা মিম ও নায়ক রাজও কাল আমার ছেলেকে ফোন করে আমার ছেলের ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। মিম আমাকে ফোন করে আব্বা বলে ডাক দিয়েছে। আব্বা ডেকে বলেছে কিছু মনে করবেন না। আমরা বাপ-বেটি একসঙ্গে ছবি দেখব।