টাঙ্গাইলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।রোববার বেলা সোয়া ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডিত আসামি হলেন টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌরসভার গজার চালা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া (২০)। আদালতে আসামির উপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।
এ মামলার অপর আসামি নুসরাত জাহান দীপ্তি ওরফে দীপ্তি আক্তারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস নয়া দিগন্তকে জানান, দণ্ডিত আসামি ২০১৬ সালের ৭ জুলাই দুপুরে স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের রক্তক্ষরণ হলে তার পরনের থ্রি পিস খুলে রবিন তার ভাবি দীপ্তি আক্তারের থ্রি পিস পরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ভিকটিমের গায়ে অন্যের জামা দেখে তার মা কারণ জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে। ওই দিন রাতে ভিকটিমের মা পাঁচজনকে আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর রবিন ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী দীপ্তির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীপ্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও তা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।