টাঙ্গাইলের পর এবার গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের ভেতর ডাকাতি ও এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া বাইপাস থেকে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে তাকওয়া পরিবহনের বাসে শ্রীপুরে যাচ্ছিলেন। চান্দনা চৌরাস্তা থেকে তাকওয়া পরিবহনের আরও তিন স্টাফ ওই বাসে ওঠে। বাসটি রাজেন্দ্রপুর পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এক পর্যায়ে ভিকটিমের স্বামীকে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাসের ভেতর ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় নারীর স্বামী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পরে জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ওই নারীকে গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
২ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে ডাকাতদল।