দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে আরেক দফা বাড়লো দামি এ ধাতুটির দাম। সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) থেকে স্বর্ণের এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের স্বর্ণের দাম। মান অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫২৫ টাকা থেকে এক হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বুধবার (৩ আগস্ট) বৈঠক করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
এরআগে ২৭ ও ৩০ জুলাই দুই দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সেই হিসেবে এক সপ্তাহে তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা করা হয়েছে।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬১৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকা করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫২৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ৬৯৬ টাকা করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরআগে গত ৩০ জুলাই ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৫৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯২৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৪৮৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৪৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ১৭১ টাকা করা হয়।
তারও আগে ২৭ জুলাই সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকা করা হয়। সেসময় অপরিবর্তিত রাখা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম।
তার আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সেসময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে করা হয় ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা করা হয়। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৩ হাজার ২১৯ টাকা করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৮ টাকা কমিয়ে করা হয় ৫২ হাজার ৭২১ টাকা।
গত ৭ জুলাই আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমায় বাজুস। সেসময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে করা হয় ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৯ টাকা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৪৭৯ টাকা করা হয়।
তারও আগে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার দাম নিম্নমুখী এবং আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৬ মে আরেক দফা দাম কমানো হয়।
সেসময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯১৭ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৯৯ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৯৯ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮২ টাকা কমিয়ে করা হয় ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকা।