২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে পরিচয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ এসলিকের। প্রায় আড়াই বছর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলেছিল। ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি মিঠুনের টানে বাংলাদেশে আসেন এলিজাবেথ। ৪ জানুয়ারি তাদের এনগেজমেন্ট হয়। ৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করে আবার এলিজাবেথ ফিরে যান নিজ দেশে। এরপর ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিঠুনের কাছে ছুটে আসেন। সেবারও কিছুদিন থাকার পর চলে যান তিনি। এরপর তিন মাসের মাথায় মিঠুনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। গত মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্থাৎ গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। মিঠুন এবং এলিজাবেথের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন চলছে।
মিঠুন বিশ্বাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে, এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সিটির বাসিন্দা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জেনএনটেক আইটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন মিঠুন। অন্যদিকে, এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড কার ডিলারশিপে হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘পাঁচ বছর বসবাসের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমাদের পরিবারে এখনও নতুন অতিথি আসেনি। আগামী বছর আসার সম্ভাবনা আছে। আমরা এখানে অনেক ভালো আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দুজনে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছি। আপাতত দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’