দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৯৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিল এই ভাইরাস।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৯৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে পাঁচ হাজার ৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলে পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ১৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে দেশে এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ৬০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ১১৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে তিনজন মারা গেছেন, তারা সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা, একজন চট্টগ্রাম ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।