বিমানের গত ২৮ জুলাই কানাডার টরন্টো থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে এক যাত্রীর ‘মদের’ আবদারে বেশ হইচই হয়। একই ঘটনা ঘটেছে ঢাকা থেকে টরন্টোগামী ফ্লাইটেও। এ ফ্লাইটে ভারত ও নেপালের যাত্রী থাকায় তারা কেবিন ক্রুর কাছে মদ চান। ঐ সময় মদ না পেয়ে হইচই করেন তারা। এক পর্যায়ে বিমান কর্তৃপক্ষকে ‘মদ’ সরবরাহের বিষয়ে যাত্রীদের দাবির কথা জানানোর আশ্বাস দেন ক্রুরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব ফ্লাইটেই ‘মদ’ দেওয়া হয়। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এটি নিষিদ্ধ। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় ‘মদ’ সরবরাহের বিষয়টি বিমানের পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে তোলা হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন বলেন, টরন্টো রুটে ভালো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ভারত এবং নেপালের থেকে যাত্রী পেয়েছি। তারা নিজ দেশ থেকে ঢাকা হয়ে টরন্টো ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন। এটা খুবই ভালো সাইন।
এর আগে গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট কানাডার টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়। যাত্রা বিরতিসহ ঢাকা থেকে টরন্টো যেতে ফ্লাইটটির সময় লেগেছে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা। এর মধ্যে ফ্লাইটটি আকাশে ছিল ১৭ ঘণ্টা।
বিমান সপ্তাহে রোববার ও বুধবার এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। প্রতি রোববার বিজি৩০৫ ঢাকা থেকে মরাত ৩টায় যাত্রা করে রিফুয়েলিংয়ের জন্য স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তাম্বুল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।
চলতি বছরের ২৬ মার্চ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে টরন্টোর উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমান প্রতিমন্ত্রী, বিমানের এমডি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।