‘মাইক্রোতে এত লাশ ছিল ভাবতে পারিনি’

‘মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের টয়লেটে এসেছিলাম, হঠাৎ নাকে টায়ার পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। টয়লেট থেকে বেরিয়ে দেখি ট্রেনের নিচে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া একটি হাইস গাড়ি। এর ভেতর থেকে একের পর এক লাশ বের হচ্ছিল। ১১টি লাশ বের হতে দেখেছি। ভেতরে এত লাশ ছিল ভাবতে পারিনি।’
কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়া ট্রেন মহানগর প্রভাতীর যাত্রী জনি খোন্দকার।

শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

হতাহতদের সবার বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার ও আশপাশের এলাকায়। খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন তারা। সবাই একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এদিকে, মাইক্রোবাসের চালক লাল পতাকার সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে উঠে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিভাগীয় পার্সোনেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল।