আমি তো সেদিনই মরে গেছি— রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাবরিনা

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ‘ভুয়া’ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর ডা. সাবরিনা চৌধুরী বলেন, একটা কথায় বলব- আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনা নিরপরাধ ছিল।

সাবরিনা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে। আমি কারাগার থেকে বের হবো কিনা সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো- দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী।

এ মামলায় সাবরিনার পাশাপাশি তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

আরো পড়ুন> ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফের ১১ বছরের কারাদণ্ড

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হলে দুজনকেই গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঐ বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে এ মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ১১ মে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। গত ২৯ জুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।