১৪ বছর ভিক্ষা করেও হলো না শেষ রক্ষা ৩ ফাঁসির আসামির

১৪ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তির পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি। সোমবার (২০ জুন) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার আমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নরসিংদীর পলাশ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের আলেক মিয়া, তার স্ত্রী মো.ছা. রূপবান ও ছেলে শরীফ মিয়া।

সোমবার বিকেলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের শামসুল হককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া ও রূপবানসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। পরে ২০১৬ সালে আলোচিত এ হত্যা মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর ছেলে জহিরুল হককেও প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এই হত্যার ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা হয়।

আদালত ২০১৭ সালে শামসুল হক হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস প্রদান ও ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে একজন জেলহাজতে থাকলেও বাকি ৫ আসামি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পলাতক ছিল। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর সদর উপজেলা এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক বাকি দুই আসামি শরাফত মিয়া ও আব্দুল গাফফার মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। জহিরুল হক হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।