ঝালকাঠিতে একটি বাড়ি খননের সময় ‘গুপ্তধন’র সন্ধান মিলেছে। শনিবার বিকেলে শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার নারায়ণ পাল নামের এক ব্যক্তির বিক্রি করা বসতভিটা খননের সময় পাওয়া যায় এ গুপ্তধন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শহরের পশ্চিম ঝালকাঠির বাসন্ডার খালের তীরে পৌর মেয়র মো. লিযাকত আলী তালুকদার দুই বছর আগে নারায়ণ পাল নামের এক ব্যক্তির পুরনো একটি ভবনসহ জমিটি কেনেন। তিনি (নারায়ণ) পরে ভারতে চলে যান।
তাঁর পুরনো ভিটাবাড়ি ভেঙে খনন করার সময় মাটির নিচে একটি গুপ্তধনের কলস বেড়িয়ে আসে। ওই কলসের মধ্যে শতাধিক রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া যায়। সেই গুপ্তধন আশেপাশের মানুষ কুড়িয়ে নেয়। খবর শুনে ঘটনাস্থলে বাবুল হাওলাদার, আফজাল হোসেন ও শাহিন নামের তিন ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে গুপ্তধন লুট করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সেই গুপ্তধন উদ্ধারে মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় বাবুল হাওলাদার নামের সাবেক এক ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, কলসটিতে পাওয়া মুদ্রাগুলোর মধ্যে ৪টি রৌপ্যমুদ্রার নমুনা পাওয়া গেছে। এই মুদ্রায় ১৯০৭ সাল লেখা রয়েছে। মুদ্রাগুলো উদ্ধারের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।
গুপ্তধন কুড়িয়ে পাওয়া পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার নাজমা বেগম বলেন, ‘বেকু মেশিন দিয়ে খনন করার সময় আমরা একটি কলস দেখতে পাই। কলসের মধ্যে শতাধিক রূপার মুদ্রা পাওয়া গেছে। আমার কাছ থেকে আফজাল এসে সব মুদ্রা নিয়ে গেছে। পুলিশ আসার আগেই আফজাল পালিয়ে যায়। তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। ’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ‘গুপ্তধন পাওয়ার একটি ঘটনা আমরা শুনেছি। এর সঙ্গে জারিত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে চারটি রূপার মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ’ বাকি মুদ্রা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।