ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আযহার সময়। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর কদর দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরইমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রানীরহাট বাজার এলাকার ইট ব্যবসায়ী এমদাদুল হক রায়হানের খামারে বেড়ে ওঠা তুফান।
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী এমদাদুল হক রায়হান বলেন, সখের বসে তিনি ইটভাটার পাশের খালি জায়গায় শেড তৈরি করে গবাদি পশু বিশেষ করে গরুর লালন-পালন শুরু করেন। যেখান দুই বছর ধরে হলেস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের সাদার মধ্যে কালো ছোপ ছোপ রংয়ের গরুটি লালন-পালন করছেন তিনি।
বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে ১ হাজার ২ শত টাকার মতো খরচ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। বিশাল আকৃতির গরুটি এবারে কোরবানির হাটে ওঠানোর চিন্তা ভাবনা করেছি। দাম ১০ লাখ টাকা চাইলেও নেয়ার ইচ্ছে থাকা ক্রেতাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, গরুটি দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিড় করছে খামারে। কেউ দাম বলছেন, তবে সঠিক দাম পেলে গরুটি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেবেন।
তুফানের পরিচর্যা, দেখা-শোনা, খাবার দেয়া, গোসল করানো, খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ সব কাজ করে থাকেন সোহাগ। তিনি জানান, গরুটিকে প্রতিদিন নিয়ম করে ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টা, কাঁচা নেপিয়ার ঘাস, খুদের যাউ, খৈল ও খড় খাওয়ানো হয়। এছাড়া গরুটিকে প্রতিদিন একবার খামারের বাহিরে আনা হয় এবং গোসল করানো হয়। আর গরুটির থাকার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে খামারের ভেতরে।
সোহাগ বলেন, গত বছর কোরবানিতে এ খামার থেকে ৫টি গরু বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবারে এই একটি গরুই বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫ ফুটের থেকে বেশি উচ্চতার ৩ বছর বয়সী গরুটির লাইফ ওজন হবে ২৫ মনের কাছাকাছি। আর দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।