কুমিল্লা সিটিতে জয় পেয়ে যা বললেন রিফাত

সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বিজয়ী হয়েই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রয়ায় তিনি বলেন, ‘এই বিজয় কুমিল্লার মানুষের। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিজয়। আমাদের এই বিজয়ের দরকার ছিল। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, সারাদিন কষ্ট করেছেন, তাদের আমার পক্ষ থেকে, মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অনেক মোবারকবাদ জানাই। আমি সারা জীবনেও কুমিল্লার মানুষের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না। তারপরেও আমি চেষ্টা করবো কমিটমেন্ট রক্ষা করতে। আমি কথা রাখবো’।

তিনি আরো বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে গত ১০ বছর যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করবো। এরপর জলাবদ্ধতা ও যানজট সমস্যার সমাধান করবো। এজন্য আমি একবছর সময় নেব। কুমিল্লাবাসীর সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ জলাবদ্ধতা ও যানজট নিয়ে। আমি কথা দিচ্ছি প্রতিশ্রুতি রাখবো’।

এর আগে বুধবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী ভোট গণনা শেষে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, ১০৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়েন পাঁচজন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, টেবিলঘড়ি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম ও হরিণ প্রতীক নিয়ে কামরুল আহসান বাবুল।

প্রসঙ্গত, কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখেনি কমিশন। যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুই জন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হয়।