শনিবার লন্ডনের রাস্তায় ভিন্ন রকম নরনারীকে প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। এ সময় কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ বিশ্বজুড়ে তেলের ওপর নির্ভরতার প্রতিবাদে ‘জন্মদিনের পোশাকে’ রাস্তায় নেমে পড়েন। ‘ওয়ার্ল্ড ন্যা;কেড বাইক রাইডের’ অংশ হিসেবে এবারের এই বার্ষিক আয়োজনে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
এতে বলা হয়, ওইসব নরনারী কড়া রোদ উপেক্ষা করে নেমে পড়েন বিভিন্ন রাস্তায়। এ জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯টি রুট। এসব রুটে নগ্ন নরনারীর ঢল নামে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এর উদ্বোধন হয় ক্রাইডনে এবং ভিক্টোরিয়া পার্কে। এতে যোগ দেয়া নারী পুরুষ বাইসাইকেল নিয়ে নেমে পড়েন। তাদের শরীরে কোনোই পোশাক ছিল না।
একেবারে বিব’স্ত্র। কিন্তু তেলের ওপর নির্ভরতার প্রতিবাদে এই র্যালিতে কে তাদের দিকে কিভাবে তাকাচ্ছে তা দেখার যেন সুযোগই নেই। তারা অবলীলায় ‘জন্মদিনের পোশাকে’ ছুটে চলেছেন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
এবারের ইভেন্টে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তিন দফা। এক হলো, গাড়ি ব্যবহারের সংস্কৃতি কমিয়ে আনতে বিশ্বজুড়ে তেলের ব্যবহারের বিরোধিতা। দ্বিতীয় হলো, নিজের শরীরকে ইতিবাচকভাবে সেলিব্রেট করা এবং নিজের স্বাধীনতাকে উপভোগ করা। আর তৃতীয় হলো, সাইকেল চালকদের বাস্তব অধিকার সুরক্ষিত রাখা।
স্থানীয় সময় বিকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শেষ হয় এই কর্মসূচি। এ সময় উন্মুক্ত শরীরের নারী ও পুরুষ রাইডার সাইকেল চালিয়ে ক্রাইডনে গিয়ে মিলিত হন। সেখানে তারা আবার পোশাক পরেন। তবে তার আগে র্যালিতে অংশ নিয়ে শরীর দেখাতে মোটেও কার্পণ্য করেননি অংশগ্রহণকারীরা।
সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে যা দিয়েছেন তা নিঃসঙ্কোচে প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাদের শরীরে পেইন্ট ব্যবহার করেছেন। কেউবা তাদের উন্মুক্ত শরীরের ওপর লিখেছেন নানা স্লোগান। এর মধ্যে সবচেয়ে বয়সী একজন ভদ্রলোককে পাওয়া যায়। তিনি তার শরীরের নিচের অংশে সবুজ পেইন্ট ব্যবহার করেন। আর মাথার দু’পাশে ব্যবহার করেন এলিয়েন বা ভিন গ্রহের আগন্তুকের মতো দুটি কৃত্রিম কান।
এক্ষেত্রে নারীরাও কম যননি। তাদের একটি গ্রুপের স্লোগান ‘বাটস অন বাইকস, ব্যাডঅ্যাস’। এসব স্লোগান তাদের নগ্ন শরীরে পেইন্ট দিয়ে লেখা হয়েছে। একজন নারী তো তার শরীরে পেইন্ট ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন উপায়ে। তার শরীরের বক্ষযুগলে এঁকেছেন বৃত্ত। নাভির চারদিকে ব্যবহার করেছেন পেইন্ট, যাতে তা আরও দৃশ্যমান হয়।
ওয়ার্ল্ড ন্যা;কেড বাইক রাইড আসলে বৈশ্বিক একটি আন্দোলন, যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শহরে পালিত হচ্ছে। তবে লন্ডনের কথা উল্লেখ করে তারা তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, লন্ডনে আমাদের সমস্যা শুধু মোটরচালিত যানবাচন নয়। একই সঙ্গে প্রাইভেট কারও।