নয়টা-পাঁচটা চাকরি ভালো লাগে না অনেকেরই। তারা চান স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে। কিন্তু পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকাই অনেকেই শুরু করতে পারেন না বড় আকারের ব্যবসা। তখন মাঝারি ব্যবসার দিকেই নজর দিতে হয় তাদের। তবে কী ধরনের মাঝারি ব্যবসা শুরু করবেন, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের ৭টি ব্যবসার আইডিয়া!
১. শিশুদের বিনোদনমূলক পণ্যসামগ্রী: শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক পণ্যসামগ্রীর চাতিদা সবসময়ই রযেছে। কেউ চায় নিজের সন্তানের জন্য আবার কেউ উপহার দেয়ার জন্য। এবং এটি একটি সর্বসময়ের চাহিদাসম্পন্ন ব্যবসা। মূলত এমন ব্যবসায় সবাই করতে চায়।শহরে এবং গ্রামে উভয় জায়গায় এই ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়। এমন কোনো ব্যবসা যদি আপনার এলাকায় না থেকে থাকে তাহলে এখনই শুরু করে করে দিতে পারেন।
২. খেলাধূলার সরঞ্জাম: একটা সময় ছিল যখন সবাই খেলাধুলার সামগ্রী কিনতে কৃপণতা করত। কিন্তু এখন ভালো একটি ব্যাট, জার্সি, ট্রাউজার, ক্যাপ, রিষ্ট ব্যান্ড না হলে যেন খেলাই জমে উঠে না। এবং সারাবছর কোনো না কোনো খেলা চলতেই থাকে। এমন একটি ইউনিক ব্যবসা আপনার সফলতার মূলমন্ত্র হতে পারে। শুধুমাত্র খেলাধুলার আইটেম যদি আপনার দোকানে থাকে তাহলে তা জনপ্রিয় হতে বেশি সময় লাগবে না।
৩. উপহারের দোকান: আমরা যখন ভালো কোনো উপহার কিনতে চাই তখন সত্যিকারের ভালো মানের উপহার খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রত্যেকে চায় তার প্রিজনকে সুন্দর উপহার দিতে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন গিফট আইটেমের শপ হতে পারে একটি আদর্শ মাঝারি ব্যবসা। আপনার লোকেশন যদি হয় কোনো স্কুল কলেজের পাশে তাহলে তা হবে উত্তম জায়গা। আপনি দর কষাকষি পছন্দ না করলে এই ধরনের ব্যবসা ফিক্সড প্রাইস করে নিতে পারেন।
৪. ওয়ান টু নাইনটি নাইন শপ: এই সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাঝারি ব্যবসা হলো ১ টু ৯৯ শপ বা 1-99 এর ব্যবসায়। আপনি যখনই এই দোকানে যাবেন তখনই দেখবেন ভিড় লেগে আছে। অন্য ব্যবসা যেমন কাপড়ের ব্যবসার মতো আপনাকে বসে থাকবে হবে না। প্রতি পণ্যে হয়ত অনেক বেশি লাভ হবে না কিন্তু সবমিলিয়ে আপনি অন্য ব্যবসার চেয়ে বেশি লাভ করতে পারবেন।
৫. ডিজিটাল পণ্য: ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসা বলতে সাধারণত স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদির যন্ত্রাংশ এবং সহকারী পণ্যগুলোকে বুঝানো হয়। ধরুন, মোবাইলের সুন্দর নতুন নতুন কাভার, গ্লাস পেপার, চার্জার, হেডফোন, মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপের জন্য মাউস, কি-বোর্ড, মাউস প্যাড, গ্লাস ক্লিনার, বিভিন্ন কাজের সফটওয়্যার ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। এটি এমন এক ধরণের মাঝারি ব্যবসা যার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬. ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা: ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা ছোট শহরে খুব একটা দেখা যায় না। তাই গ্রামে এবং গ্রামীণ বাজারে এমন একটি ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা দেয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে একটি ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান চলতে পারে।
৭. ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং: বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দিন দিন কম্পিউটার শেখার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এ জন্য ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার একটি সেরা মাঝারি ব্যবসা এই সময়ে। তথ্যসূত্র: দি প্রমিনেন্টে